মিয়ানমারে চলমান রাজনৈতিক সংকট নিয়ে চরম হতাশা ব্যক্ত করেছেন মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী ইসমাইল সাবরি ইয়াকোব। এই সংকট মোকাবিলায় নিরাপত্তা পরিষদ কোনো তাৎপর্যপূর্ণ পদক্ষেপ নেয়নি বলে অভিযোগ করেছেন তিনি। চলমান সংকট বাংলাদেশে শরণার্থী ক্যাম্পে থাকা রোহিঙ্গাদের (ভবিষ্যৎ) পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে ঠেলে দিয়েছে বলে তিনি মনে করছেন। খবর আল-জাজিরার।
জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে গত শুক্রবার তিনি বলেন, অনেকেই মনে করেন নিরাপত্তা পরিষদ বিষয়টি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর আঞ্চলিক জোট আসিয়ানে ঘাড়ে তুলে দিয়ে হাত ধুয়ে ফেলেছে। মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী বলেন, আসিয়ানের পাঁচ দফা ঐক্যমতে মিয়ানমারে সহিংসতা বন্ধের যে আহ্বান জানানো হয়েছে তার পালে হাওয়া দিতে হবে। এজন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে নিয়ে আলোচনা করা দরকার। বিশেষ দূত নিয়োগ দেওয়াও প্রয়োজন।
আসিয়ানের পাঁচ দফা ঐকমত্য বাস্তবায়নের দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিশেষ করে মিয়ানমারের জান্তা সরকারের পক্ষ থেকে কোনোই অগ্রগতি নেই। এভাবে এই পাঁচ দফা ঐকমত্য আর প্রাণ ধরে রাখতে পারে না। চলমান পরিস্থিতিতে মালয়েশিয়া হতাশ। মালয়েশিয়া মানবিক কারণে এ পর্যন্ত প্রায় দুই লাখ রোহিঙ্গা শরণার্থীকে জায়গা দিয়েছে বলে এ সময় তিনি উল্লেখ করেন। সংকট সমাধানে মালয়েশিয়া মিয়ানমারের সামরিক প্রশাসনকে জোরালো আহ্বান জানিয়ে আসছে। সেই সঙ্গে ক্ষমতা থেকে অপসারিত মিয়ানমারের নির্বাচিত রাজনীতিবিদদের প্রতিষ্ঠিত ন্যাশনাল ইউনিটি গভর্নমেন্ট (এনইউজি) ও আসিয়ানকে যুক্ত হওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।
মিয়ানমারের জেনারেলদেরকে এ বিষয়ে ফিলিপাইন, ইন্দোনেশিয়া, সিঙ্গাপুর জোরারোপ করেছে।২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে অং সান সু চির সরকারের কাছ থেকে ক্ষমতা দখল করে মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী। এরপর সেখানে হাজার হাজার মানুষকে হত্যা করা হয়েছে। দেশটিতে নতুন করে গৃহযুদ্ধ শুরু হয়েছে বলে মনে করেন জাতিসংঘের অনেক বিশেষজ্ঞ।
মন্তব্য