প্রবল শক্তি নিয়ে কানাডার নোভা স্কটিয়ার উপকূলে আঘাত হেনেছে শক্তিশালী হ্যারিকেন ফিওনা। পূর্ব নোভা স্কটিয়ার বিভার দ্বীপে ১৫২ কিলোমিটার পর্যন্ত বাতাসের গতিবেগ রেকর্ড করা হয়েছে। গতকাল শনিবার সকালে দেশটির পূর্বাভাসকারীরা সতর্ক করে বলেন, এটি দেশটির ইতিহাসে সবচেয়ে মারাত্মক ঘূর্ণিঝড় ।
শনিবার সকাল থেকে নোভা স্কটিয়া এবং প্রিন্স এডওয়ার্ড দ্বীপের কিছু অংশে ঝড়ো বাতাস এবং ভারী বৃষ্টিপাত শুরু হয়। প্রবল বাতাসে বিদ্যুৎসংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে অনেক জায়গায়। স্থানীয় কর্তৃপক্ষের বরাতে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন জানিয়েছে, নোভা স্কটিয়াজুড়ে ৩ লাখ ৭৬ হাজার মানুষ বিদ্যুৎ বিভ্রাটের মুখে পড়েছে। নিউ ব্রন্সউইক, কুইবেকের দক্ষিণাঞ্চল, নিউফাউন্ডল্যান্ড এবং ল্যাবরেডরের বাসিন্দারা ঝড়ো বাতাসের সম্মুখীন হয়েছে।
ফিওনা শনিবার সকালে কেপ ব্রেটন দ্বীপের মধ্য দিয়ে যাবে এবং সন্ধ্যার মধ্যে দক্ষিণ-পূর্ব ল্যাব্রাডর সাগরে পৌঁছবে বলে পূর্বাভাসে রয়েছে। কানাডিয়ান হ্যারিকেন সেন্টার জানায়, তীব্র বাতাসের সঙ্গে ভারী বৃষ্টিপাত হচ্ছে। এখন পর্যন্ত নোভা স্কটিয়া, প্রিন্স এডওয়ার্ড দ্বীপ এবং ইলেস-ডি-লা-ম্যাডলিনের ওপর দিয়ে ৮০-১১০ কিলোমিটার বেগে দমকা বাতাস বইছে। সর্বোচ্চ ১৪৪ কিলোমিটার বেগে বিভার দ্বীপের ওপর দিয়ে বয়ে গেছে ঝড়ো বাতাস। আটলান্টিক সাগরবর্তী বসবাসরত লোকজনদের উচ্চ সতর্কতা অবলম্বনের নির্দেশ দিয়েছে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।
মন্তব্য